ধর্ষণ আমাদের দেশের জন্য অতি পরিচিত একটি শব্দ।সব শ্রেণি পেশার মানুষ এই শব্দকে ভয় পেত।আজকাল কেউ পাত্তায় দেয় না।এক সময় মানুষ দুশমনি হাসিল করতে চাইলে টাকা পয়সা দিয়ে ধর্ষণ মামলার আসামী করা হত।কেন করা হত কম বেশী সবাই জানি।আজকে দেশে এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে ধর্ষণ আতন্ক।এতোদিন আমরা ছিলাম করোনা আতন্কে।করোনা জয় করে যখন মানুষ আস্তে আস্তে ঘরের বাহির হওয়া শুরু করল।বাবসা বানিজ্য আরম্ভ করলো তখনই নতুন মহামারি ধর্ষণ প্রকট আকার ধারন করল।সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, হাজার হাজার অনলাইন নিউজ পোর্টাল,টিভিতে মিনিটেই সংবাদ বা খরর ছড়িয়ে যাচ্ছে।ধর্ষণের খবর ছাড়া আর কিছুই দেখছিনা।আবার দেশের তরুনরা রাজপথে প্রতিবাদ করছে।একটি বিষয় খুব ভালো করেই লক্ষ্য করেছি।যারা প্রতিবাদ করছেন তারা সবাই যুবক।আবার যাহারা ধর্ষণ করছেন তারাও যুবক।ক্রমান্বয়ে প্রতিবাদে সকল পেশার মানুষের অংশগ্রহন করছে।এ সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে ধর্ষণ জ্বরে দেশ আক্রান্ত। এক দুই বছর আগে ধর্ষিতা নারীদের ভিডিও আমরা দেখতে পাচ্ছি।মনে হয়েছে এ মহামারির কথা কেউ কেউ আগে থেকে জানতো।এ জন্য ছবি আর ভিডিও গুলো কালেকশন করে রেখে ছিল।আমাদের মা বোনরা এখন একাকী বাড়ি থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছে।স্কুল মাদ্রাসায় ছেলে মেয়ে পাঠাতে বল্লে আতঙ্কিত হয়ে উঠছে।আমরা সচেতন নাগরিক আমাদের ও বোধগম্য হচ্ছেনা।কি কারণে ধর্ষণ বেড়ে গেল।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজ বুকে জনৈক নুরুল আবছার লিখেছেন বিয়ের বয়স পুনরায় বিবেচনা করা হোক।অন্য আর একজন লিখেছেন দেন মোহর নির্দিষ্ট করা হোক।আসলে কি তাই।সেটা আমরা মানতে পারছিনা।দেশের আইন শৃঙ্খলা এবং বিচার বিভাগ এ ক্ষেত্রে দায়ী বলে মনে হয়।আইন শৃঙ্খলা ও বিচার বিভাগ যদি শুদ্ধ ভাবে চলে তা হলে এ মহামারি রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব।তাছাড়া কিছু টিভি চ্যানেল বন্ধ করা গেলে অনেকাংশে কমে যাবে।সর্বোপরি আইনের শাসন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এ মহামারির বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে না।সরকারের উচিত রাজপথে সংঘাতে জড়িত না হয়ে এদের যৌক্তিক দাবী মেনে নিয়ে ধর্ষণ মহামারির বিরুদ্ধে সম্মিলিত যুদ্ধ ঘোষনা করা।এ ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন করা।যেমনি ভাবে করোনা বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা হয়েছিল।পাড়ায় মহল্লায় চেয়ারম্যান মেম্বারদেরকে দিয়ে বেকার ও পিতা মাতার অবাধ্য সন্তানদের তালিকা করে প্রশাসনের কাছে জমাকরা। বেকার যুবক বা যুবতি কখন কোথায় যায় তার অভিভাবক যেন অবহিত থাকেন তা নিশ্চিত করা।নিজ নিজ দলের নেতা কর্মীদের দমিয়ে রাখা।মানুষ হিসাবে আমাদের নিজ নিজ দৃষ্টি সংযত করা।ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক
কক্সনিউজ বিডি।