নিউজ ডেক্স
জনগূরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম এলাকা ঈদগাঁও বাসস্টেশনে মধ্যরাতে এক কিশোরী পাশবিক ও বর্বর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।পালাক্রমে রাতভর ওই গণধর্ষণ অব্যাহত রাখতে এবং ধর্ষিতাকে আরেক পাষণ্ড পরিবহণ শ্রমিকনেতার কাছে উপঢৌকন হিসেবে দিতে গিয়েই বেধেঁছে বিপত্তি।ওই পরিবহণশ্রমিক নেতার পালায় উপঢৌকন হিসেবে পাওয়া এবং ইতোপূর্বে কয়েকদফা গণধর্ষণের শিকার কিশোরী মেয়েটির আর্তচিৎকার পেট্টোল ডিউটিতে থাকা ঈদগাঁও থানা পুলিশের কানে পৌঁছে যায়। জাপান মার্কেটের ছাদে পালারত অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়ে কক্সবাজার জেলা জীপ- মাইক্রো – হায়েস শ্রমিক ইউনিয়ন ( রেজিঃ ২৪৮৬) এর সেক্রেটারি খোরশেদ আলম( ৫০)।ধর্ষিতা শাকিলা ( ছদ্মনাম)কে পুলিশ উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। সে বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।জানা গেছে, ওই গণধর্ষণের ঘটনার মূলপরিকল্পনাকারী ও সংঘটক হলো পরিবহণশ্রমিক মাহমুদ উল্লাহ ( ৩৬)। মাইক্রোবাস ( হায়েস, চট্টমেট্টোঃ চ-৪৪৬৪) এর ড্রাইভার। তার বাড়ী সদর উপজেলার ঈদগাঁও থানার অন্তর্ভুক্ত ইসলামাবাদ ইউনিয়নের ঢালার দুয়ার এলাকায়( ঈদগাঁও থানা কম্পাউন্ড থেকে ১০০ গজ দুরত্ব)।সংঘটিত গণধর্ষণের ঘটনায় পালাকারের ভূমিকায় ছিলেন আরো ৩ জন। এদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাসের হেলপার( নাম জানা যায়নি), আরেকজন মাইক্রোবাসের(ঢাকা মেট্টো,চ – ২০৪৫) মালিক কাম ড্রাইভার জাফর আলম। যাকে লেডিস জাফর নামেই চেনে। তার বাড়ী ইসলামাবাদ ইউনিয়নের নতুন রাস্তার মাথায়। ধর্ষক ৪ জনকে আসামী করে ধর্ষণ মামলা রুজু করা হয়েছে নবগঠিত ঈদগাঁও থানায়।আসামীদের মধ্যে ২ জন ইতোমধ্যে ধরা পড়েছে।বাকী ২ জন পলাতক। একটি নির্ভরযোগ্যসূত্র থেকে জানা গেছে,২৮ জানুয়ারী ঈদগাঁও বাসস্টেশন থেকে চকরিয়ার যাওয়ার উদ্দেশ্যে কিশোরী শাকিলা( ধর্ষিতার ছদ্মনাম) মাইক্রোবাসে ( হায়েস চট্টমেট্টো- চ ৪৪৬৪) উঠে এবং ড্রাইভারের পার্শ্ববর্তী সিটে বসে। ড্রাইভার মাহমুদুল্লাহ পথিমধ্যেই প্রলোভন দেখিয়ে শাকিলাকে বিভিন্নভাবে প্ররোচিত করে। সারাদিন এভাবে মাইক্রো বাসেই তাকে রেখে দেয় ড্রাইভার।দিন ঘনিয়ে সন্ধ্যা হলে মাহমুদুল্লাহ তার লালসা চরিতার্থ করার মানসে আরো একাধিক সহযোগি যোগাড় করে। ইত্যবসরে শাকিলাকে খাবারের সাথে নেশাদ্রব্য মিশিয়ে অজ্ঞান করে ফেলে।মাহমুদুল্লাহ ও তার দল শাকিলাকে অজ্ঞান অবস্থায় অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে স্থান পরিবর্তন করে ঈদগাহ কলেজ এলাকায় আরেকদফা বণ্য ও বর্বর কামতৃষা চরিতার্থ করার উৎসবে মেতে উঠে।পরে শাকিলাকে ঈদগাঁও বাসস্টেশস্থ জাপানী মমতাজ মার্কেটে দোতলায় পরিবহণনেতা খোরশেদ আলমের কাছে নিয়ে আসে। ওইখানে যন্ত্রণাক্লিষ্ট মেয়েটি শোরচিৎকার করলে বেরসিক পুলিশ হানা দেয়।
ওই ধর্যণের ঘটনা ৩দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে গ্ণমাধ্যম থেকে আড়ালে থেকে গেছে। ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)আবদুল হালিম ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।